সৃষ্টি জগতে মানুষ এতিম হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। প্রতিটি শিশুরই নির্দিষ্ট পিতা মাতা আছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অল্প বয়সে তারা তাদের মা অথবা বাবা অথবা উভয়কেই হারায়। এই হারানোর পেছনে তাদের কোন হাত নেই। অথচ তারাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ। তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। যে কারণে বা যাদের কারণে তাদের এতিম হতে হয় তারা কি ভেবে দেখে কখনও তার নিজের ছেলেমেয়ে বা পরিবারের দিকে তাকিয়ে। চলুন আমরা সম্মিলিতভাবে এতিমদের সহায়তা করতে আঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে নিজেকে এতিমের পাশে দাঁড় করাই।অসহায়দের সহায় হয়ে নিজেকে.....
*যারা অন্যায়ভাবে এতিমের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করে, নিশ্চয় তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না এবং সত্বরই তারা অগ্নি শিখায় উপনীত হবে। (সূরা নিসা: ১০)
*অতএব, তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না। (সূরা জুহা: ৯)
*তিনি কি তোমাকে পিতৃহীন অবস্থায় পাননি, অতপর তোমাকে আশ্রয় দান করেন নি? (সূরা জুহা: ৬)
*এবং পিতৃহীনদের প্রতি সুবিচার প্রতিষ্ঠা কর। (সূরা নিসা: ১২৭)
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব; আশরাফুল মাকলুকাত। আমাদের দৈনন্দিন আচার আচরণ সেরা জীবের মতই হওয়া উচিত। কোন কোন মানুষের আচরণ দেখে অবাক হয়ে যাই। মানুষ এরকম হিংস্র জানোয়ারের মত হয়ে যায় কেমনে? মানুষের স্বাভাবিক বু্দ্িধ জ্ঞান লোপ পায় কিভাবে? একজন মানুষ আর একজন মানুষকে কিভাবে হত্যা করে বা হত্যা করতে পারে। যে হত্যাকারী সে কি কখনও নিজেকে কখনও প্রশ্ন করে দেখেছে যে তাকে যদি কেউ হত্যা করতে চায় তবে সে বাঁচার জন্য কি করবে? তার নিজস্ব শ্রেষ্ঠ সম্পদ দিয়ে হলেও নিজে বাঁচতে চাইবে।তবে কেন এই জঘণ্যতম নিষ্ঠুরতা বা নির্মমতা। আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। আমাদের ন্যায় নীতিবোধ ও সহযোগিতার জাগ্রত......
More...